১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন ডা. জুবাইদা রহমান, সঙ্গে থাকবেন বেগম জিয়াও
দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছেন ডা. জুবাইদা রহমান। লন্ডনে স্বামী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কন্যা জায়মা রহমানের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন তিনি। এবার দেশে ফেরার সময় তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
জানা গেছে, আগামী ৪ মে (রোববার) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাঁরা লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। পরদিন ৫ মে (সোমবার) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁদের বহনকারী উড়োজাহাজ অবতরণ করবে।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। প্রথমে একটি লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন।
২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় আদালত জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের ফলে সেই দণ্ড স্থগিত করা হয়।
ডা. জুবাইদা রহমান একজন উচ্চ শিক্ষিত ও মেধাবী চিকিৎসক। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে বিসিএসে প্রথম হয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন তিনি। ২০০৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য ছুটি নিয়ে বিদেশে যান এবং পরবর্তীতে ছুটি নবায়ন করলেও দেশে না ফেরায় তাঁকে বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সিলেটের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া ডা. জুবাইদা প্রয়াত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলীর কন্যা। তাঁর চাচা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী। মাহবুব আলী ছিলেন জিয়াউর রহমান সরকারের নৌবাহিনী প্রধান এবং পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের অধীনে যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী।
১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ডা. জুবাইদা রহমান। তাঁদের দীর্ঘ প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাঁরা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করছেন।