নির্বাচন চাওয়া যেন অপরাধ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে : তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছে।
তারপরও যদি দলগুলোকে অবমূল্যায়ন করা হয়, তাহলে তা রাজনৈতিক শূন্যতার দিকে দেশকে ঠেলে দেবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের রায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।
কিন্তু বর্তমানে এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে, যেখানে নির্বাচনের কথা বলাটাই যেন অপরাধ।
শুক্রবার (২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি অর্জন হচ্ছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অগ্রগতি।
এ দুটি ঘটনাই প্রমাণ করে, এই দেশের জন্ম কোনো বিদেশি শক্তির ছায়ায় চলার জন্য হয়নি।
তারেক রহমান বলেন, দেশের এক সময়ের স্বৈরশাসক বাংলাদেশকে ভারত নির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের ভোটে প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিল এবং থাকবে।
এটি একটি স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক দাবি। অথচ এখন এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যেন নির্বাচন নিয়ে কথা বললেই তা দোষের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
তারেক রহমান আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধে কেবল তাত্ত্বিক সংস্কার যথেষ্ট নয়। দেশের সার্বিক স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক হওয়া জরুরি।
বর্তমান সরকার কেবল দোষারোপের রাজনীতি করছে, যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকার পালিয়ে থাকা স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।