গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ: কীভাবে চিনবেন বিপদের সংকেত?
গর্ভধারণকাল নারীর জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেখানে শরীরের নানা পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এই সময় কিছু সংকেত হতে পারে যা গর্ভাবস্থার সমস্যার ইঙ্গিত দেয়, যেমন জরায়ুর মুখ খোলা। কিন্তু এই লক্ষণগুলো প্রাথমিক অবস্থায় ধরা না পড়লে মায়ের ও শিশুর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ এবং প্রাথমিক পদক্ষেপ জানলেই এর সম্ভাব্য ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যেতে পারে।
কেন জরায়ুর মুখ খোলে?
গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার প্রধান কারণ হতে পারে সার্ভিক্যাল ইনসাফিসিয়েন্সি বা জরায়ুর গলানোর দুর্বলতা। এটি প্রায়শই তখন ঘটে যখন জরায়ু সঠিকভাবে প্রস্তুত না হয়ে প্রসবের জন্য প্রস্তুত হয়। বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তন বা শারীরিক চাপের কারণে জরায়ু খোলার শুরু হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ কী গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার প্রথম লক্ষণ হতে পারে তলপেটে অস্বস্তি বা ব্যথা। মায়েরা সাধারণত এ ধরনের ব্যথাকে মাসিকের ব্যথার মতো অনুভব করেন। কিছু অন্যান্য লক্ষণ হলো:
যোনি থেকে পানি বা তরল নিঃসরণ
হালকা রক্তপাত বা গোলাপি রঙের স্রাব
মূত্রত্যাগের তীব্র চাপ
নিয়মিত বা অনিয়মিত সংকোচন
গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার পরিণতি হতে পারে প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি, যা মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করলে গর্ভধারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে এই লক্ষণগুলো আগে থেকেই চিনে নেওয়া হলে চিকিৎসা সহজেই করা সম্ভব।
গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার প্রথম লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে তৎক্ষণাৎ যাওয়া উচিত। চিকিৎসক সারক্লাজ (cervical cerclage) নামক পদ্ধতি ব্যবহার করে জরায়ু বন্ধ করে দিতে পারেন, যাতে শিশুর গর্ভস্থ অবস্থান নিরাপদ থাকে। তবে সময়মতো পরামর্শ নিলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহজেই করা সম্ভব।
গর্ভকালীন স্বাস্থ্য ও সচেতনতা
গর্ভাবস্থায় যেকোনো অস্বাভাবিকতার জন্য সতর্ক থাকা জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং শরীরের সংকেতগুলির প্রতি মনোযোগী হওয়া গর্ভকালীন সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।